তাহলে পোস্টটি ২ বার পড়ুন৷
বাংলাদেশের যেকোনো প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়ে শুধু ৪ বছরে সেমিস্টার ফি ৫ থেকে ১০ লক্ষ টাকা।
সাথে ৪ বছরের থাকা-খাওয়া, হাত খরচ, বন্ধুদের সাথে ঘুরাঘুরি, চা-বিড়ি, যাতায়াত ও ডেটিং ইত্যাদি মিলে আরো ৫ লাখ টাকা খরচ।
কিন্তু পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়লে ৪ বছরে ভার্সিটিতে পড়া বাবদ খরচ হবে জাস্ট ২০ হাজার টাকা।
সরকারের টাকায় পড়বেন, ১০ টাকা ভাড়ায় হলে থাকবেন, ২০ টাকায় ভাত-মাংস-ডাল খাবেন।
বাসা ভাড়া নাই, বিদ্যুৎ বিল নাই, গ্যাস বিল নাই, বুয়া বিল নাই, পত্রিকা বিল নাই।
দিনরাত ২৪ ঘন্টা ফ্রি ওয়াফাই, ডিপার্টেমেন্টে এসি তে ক্লাস, ফ্রি তে কম্পিউটার ল্যাব, ফ্রি পানির ফিল্টার।
এবং দেশসেরা শিক্ষকদের ক্লাস ও সারা বাংলাদেশের সবচেয়ে মেধাবীদের ক্লাসমেট হিসেবে পাবে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের এত এত সুযোগ সুবিধাগুলো ৪ বছরের জন্য নিজের করে নিতে চাইলে এখন একটু পরিশ্রম ত করতেই হবে।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে চান্স পেতে চাইলে অবশ্যই নিজের সর্বোচ্চ প্রস্তুতি নিতে হবে। কেননা কোচিং - প্রাইভেট সবাই করে চান্স সবাই পায়না।
আরে চান্স ত দূরে থাক ভার্সিটি পরীক্ষায় পাশই করে মাত্র ১০-১৫% পোলাপান।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে একটা আসন নিজের করে নিতে চাইলে এই ৫ টা কাজ ভালোভাবে করতে হবে।
১. যেকোনো প্রশ্নব্যাংক থেকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বিগত ২০ বছরের প্রশ্ন ও বিসিএসের ৩০ বছরের প্রশ্ন সলভ করবেন।
২. বাংলার জন্য বোর্ড বইয়ের ২৪ টা গদ্য-পদ্য বার বার রিডিং পড়বেন৷ বিশেষ করে শব্দার্থ ও গল্প বা কবিতায় উল্লেখিত ফুল-ফল ও নদীর নামগুলো ভালো করে পড়বেন।
এর পাশাপাশি পড়তে হবে ব্যাকরন অংশের জন্য বাংলা ২য় পএ MCQ গাইডলাইন বইটি।
বাংলা ২য় পএ MCQ গাইডলাইন বইটি ভালোভাবে আয়ত্ত্ব করতে পারলে ইনসা আল্লাহ ব্যাকরন অংশে ১০০% প্রশ্নের সঠিক উওর করতে পারবা।
৩. ইংরেজির জন্য Noun, Pronoun, Right form of verb, Conditional Sentence, Gerund এবং Synonym / Antonym ও Preposition খুব ভালো করে পড়বেন৷
Vocabulary এর জন্য অবশ্যই সংগ্রহ করুন Vocabulary guideline বইটি।
এই বইটি ভালোভাবে পড়লেই ইনসা আল্লাহ।
Vocabulary অংশে মানসম্মত প্রস্তুতি হয়ে যাবে।
৪. সাধারণ জ্ঞান ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে বেসিক থেকে বেশি প্রশ্ন আসে। তাই বাজারের যে বইয়েই পড়েন বা কেন সাথে অবশ্যই এইচএসসির পৌরনীতি, ইতিহাস ও ভূগোল বই তিনটি দেখবেন।
এর পাশাপাশি পড়তে হবে GK গাইডলাইন ( বাংলাদেশ ও আন্তর্জাতিক) বইটি।
GK গাইডলাইন ( বাংলাদেশ ও আন্তর্জাতিক) বইটি ভালোভাবে ৩ থেকে ৪ বার রিভিশন দিয়ে পরীক্ষা হলে যেতে হবে।
বাংলাদেশের সকল জেলা শহরের জনপ্রিয় লাইব্রেরি তে GK গাইডলাইন ( বাংলাদেশ ও আন্তর্জাতিক) বইটি পাওয়া যাচ্ছে।
৫. রিটেনের জন্য রিটেন গাইডলাইন সহায়িকা বইটা তিন থেকে চারবার পড়ে শেষ করবেন৷
এক বইয়েই বাংলা - ইংরেজি - সাধারণ জ্ঞান - প্রেক্টিস এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রিটেনে যা যা আছে সব কিছু আছে।
মনে রাখবা রিটেনে টেনেটুনে পাশ করলে ভালো সাব্জেক্ট পাবেনা।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে একটা ভালো সাব্জেক্টে পড়তে চাইলে সময় থাকতেই সাবধান হতে হবে এবং ঢাবির রিটেনে আসেনা এমন টপিক বা ঢাবির সিলেবাসের সাথে মিল নাই এমন বই হাজারবার পড়ে শেষ করলেও লাভ নেই।
ঢাবি রিটেনে সর্বোচ্চ নাম্বার পেতে চাইলে সূরা ফাতিহার মতো রিটেন গাইডলাইন সহায়িকা বইটা মুখস্থ করে ফেলবা।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে চান্স পেলে যেমন নামমাত্র টাকায় দেশসেরা প্রতিষ্ঠান থেকে উচ্চশিক্ষা নেওয়ার সুযোগ পাবেন, পাশাপাশি মা-বাবার অনেকগুলো টাকা সেইভ করে দিতে পারবেন।
শুধু তাইনা, বিভিন্ন শিক্ষাবৃত্তি ও টিউশন করে উল্টো মা-বাবার মুখে হাসি ফোটাতে পারবেন।
আর সম্মান ও ভালবাসার কথা ত বললাম ই না।
আত্মীয়- স্বজন থেকে পাড়া প্রতিবেশী সবাই তোমার উদাহরণ দিয়ে তাদের সন্তান কে উপদেশ দিবে।
তোমার মা-বাবা গর্ব করে বলবে আমার কষ্ট সফল হয়েছে। আমার ছেলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ে।
কী মা বারার মুখে হাসি ফুটোনোর ইচ্ছে আছে তো?
Collected