১. আপনার করযোগ্য আয় ৩.৫০ লক্ষ বা নির্ধারিত সীমার কম হলে অবস্থানগত কোন মিনিমাম ট্যাক্স নাই। বেসরকারি চাকরিজীবীর মোট আয় ৪.৫০ লক্ষ টাকা। তাকে মিনিমাম ট্যাক্স ৩০০০ টাকা দিতে হবে না। তবে তার সুদ আয় ১০০০০ এবং কর্তন ১০০০ হলে এই ১০০০ টাকা মিনিমাম ট্যাক্স এবং তা পরিশোধিত।
২. করযোগ্য আয় ৩ লক্ষ এবং চূড়ান্ত কর যেমন সঞ্চয়পত্রের আয় ১ লক্ষ। এখানে মোট আয় ৪ লক্ষ হলেও অবস্থানগত ৩০০০ টাকা দিতে হবে না।
৩. রিবেট হবে বিনিয়োগের ১৫% অথবা মোট করযোগ্য আয়ের ৩% যেটি কম। খুব সহজ হিসাব তাইনা। তবে এই করযোগ্য আয় হতে সকল মিনিমাম ট্যাক্সের আয় ও ফাইনাল ট্যাক্সের আয় বাদ যাবে। যাদের সঞ্চয়পত্র ও ব্যাংক সুদ ছাড়া কোন আয় নাই তারা কোন রিবেট পাবে না।
৪. রিবেট বাদ দেয়ার পর নীট করদায় ০ বা নেগেটিভ হলেও মিনিমাম ট্যাক্স দিতে হবে। এই পয়েন্টে এসে সবাই ৩/৪/৫০০০ টাকা দিয়ে দিচ্ছেন। থামেন।
৫. মিনিমাম ট্যাক্স শুধু অবস্থানগত না, আর্থিক সম্পদ হতে আয়ও মিনিমাম ট্যাক্স এবং মূলধনী আয়ের উৎসে কর ও সঞ্চয়পত্রের কর্তন ও মিনিমাম ট্যাক্স। এই মিনিমাম ট্যাক্সগুলোর মধ্যে যেটা সর্বোচ্চ তাই হল ইফেক্টিভ মিনিমাম ট্যাক্স।
৬. এবার আপনাকে ইফেক্টিভ মিনিমাম ট্যাক্স পরিশোধ করতে হবে। এখন দেখেন কি কি পরিশোধ করা আছে। বেতন, গাড়ির অগ্রিম, সঞ্চয়পত্রের কর্তন, ব্যাংক সুদের কর্তন এগুলো হল কমন পরিশোধ।
৭. সব কর্তন বাদ দেয়ার পর কোন বাকী থাকলে তার চালান করবেন। অতিরিক্ত পরিশোধ হলে শুধু বেতন হতে যা কর্তন করেছে সে পর্যন্ত আগামী বছর সমন্বয় করবেন।
৮. গাড়ির অগ্রিম, সঞ্চয়পত্রের কর্তন, ব্যাংক সুদের কর্তন এগুলো পরের বছর কর পরিশোধের সাথে সমন্বয় করা যাবে না। copy from আনোয়ার পারভেজ এফসিসিএ