Type Here to Get Search Results !

সরকারি চাকরি পরিবর্তনে কিছু নীতিমালা

ভালো জব হলে কিংবা বিভিন্ন কারণে জব পরিবর্তন করতে হয় | রাজন্ব খাতের চাকুরি পরিবর্তনে যে বিষয়ে খেয়াল রাখতে হবে।

(১) যেকোনো ভাইভা দেয়ার সময় NOC নিবেন | নয়তো চাকুরি ছাড়তে ১-৩ মাসের বেসিক ফিরত দিতে হবে | NOC নিবেন আপনার নিয়োগকারী কর্তৃপক্ষ থেকে |

(২) নতুন জবে জয়েন করার আগেরদিন বা আগের মাসের শেষদিন অপরাহ্নে পূর্বের জবে অব্যাহতি নিন | পুরাতন ভাংতি মাসের টাকা তোলায় সামান্য ঝামেলা আছে |

(৩) প্রথম কাজ অব্যাহতিপত্র হাতে পাওয়া | নিয়োগকারী কর্তৃপক্ষ থেকে অব্যাহতিপত্র হাতে না পেলে জিপিএফের টাকা তুলতে পারবেন না | নিয়োগপত্র, পুরাতন জবের পে ফিক্সেশন কপি, অব্যাহতিপত্র ইত্যাদি হিসাবরক্ষণ অফিসে জমা দিলে তারপর জিপি ফান্ডের টাকা মঞ্জুর হলে তারপর ব্যাংক থেকে টাকা তুলতে পারবেন |

(৪) জিপি ফান্ডের টাকা তোলার পর পে ফিক্সেশন বাতিলের কাজ | এক্ষেত্রে পূর্বের & নতুন ২ হিসাবরক্ষণ অফিসে যোগাযোগ করে পে ফিক্সেশন বাতিল না করে ট্রান্সফারও করতে পারে (সবক্ষেত্রে করা যায় না)

(৫) হিসাবরক্ষণ অফিসে কথা বলে LPC (চাকুরিকাল সংরক্ষণ) আবেদন করতে পারেন | তাহলে আপনার পূর্বের জবের চাকুরিকাল হিসেব হবে | কোনো কারণে ২৫ বছরের পূর্বে জব ছাড়া লাগলে LPC কাজে লাগবে | LPC সহ অন্তত ২৫ বছর হলেই পেনশন পাবেন, নয়তো না |

(৬) যদি পে ফিক্সেশন বাতিল করা লাগেই তবে বিভাগীয় হিসাবরক্ষণ অফিস থেকে বাতিল করতে হয় | এগুলো সাধারণত প্রয়োজনীয় কাগজপত্র সহ নিজেই যোগাযোগ করতে হয় | অফিসিয়ালি পড়ে থাকে |

(৭) পে ফিক্সেশন বাতিল করার পর পুরাতন হিসাবরক্ষণ অফিসের মাস্টার ডাটা থেকে রিলিজ নিতে হয় | আপনার অব্যাহতিপত্র জমাদানের প্রেক্ষিতে যদিও এটা ওদেরই কাজ তবে করবে না!

(৮) পুরাতন পে ফিক্সেশন বাতিল না করে কোনোক্রমেই নতুন পে ফিক্সেশন করবেন না!

(৯) উভয় পে ফিক্সেশনে অবশ্যই অবশ্যই একই মোবাইল নাম্বার ব্যবহার করবেন, সম্ভব হলে একই NID ব্যবহার করবেন | NID নাম্বার চেঞ্জ হলে বিভাগীয় হিসাবরক্ষণ অফিস থেকে মার্জ করাতে হবে | মোবাইল নাম্বার চেঞ্জ করলে অনেক বড় ঝামেলায় পড়তে হবে | চাকুরি যতোই চেঞ্জ করেন নাম্বার একই রাখবেন |

(১০) প্রায় সবাই বলতো বোনাস নাকি বকেয়া হয় না, কথাটা সত্য নয় | আগে বকেয়া হতো না, আইবাসে সব বোনাসই বকেয়া হয়, এমনকি বৈশাখী ভাতাও....

(১১) উপর্যুক্ত কথাগুলো শুধু রাজস্ব জবের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য | স্বায়ত্তশাসিত জবের হিসেব আলাদা, ওদের তেমন ঝামেলা নেই | ওদের নিজ প্রতিষ্ঠানই বেতন দেয় |

(১২) ২০১৯ সাল পর্যন্ত ম্যানুয়ালি বেতন তুলতাম | কোনো ঝামেলা ছিলো না | ২০২০ সালে আইবাস সিস্টেম চালু হয় | তাও সরকার একটা প্রাইভেট কোম্পানিকে আইবাসের কাজ দেয়, ওরাই নিয়ন্ত্রণ করে | নতুন সিস্টেম হওয়ায় আইবাস বিষয়ে এক্সপার্ট লোক পাওয়া খুব খুবই দুষ্কর | আমার সমস্যাগুলোর জন্য মাসের পর মাস সংশ্লিষ্ট কত অফিসে দৌড়াদৌড়ি করেছি | কেউ সমস্যাই বুঝে না, সমাধান করবে কী!? আইবাস একাউন্ট খোলা এমনই সমস্যা যে একটা সমস্যার সমাধান হলেই আরেকটা সমস্যা দেখা দেয় | আইবাসে একাউন্ট না খুললে বেতন নেয়ার কোনো সুয়োগই নাই | তাই এর পিছনে নিজের পড়া বাদ দিয়ে মহা গুরুত্বপূর্ণ সময়গুলো নষ্ট করেছি |

(১৩) এই কাজ করতে গিয়ে বহু নতুন মানুষের সাথে পরিচয় হয়েছে | তবে মানুষ পাইনি, প্রায় সবই মানুষের ছদ্মবেশ! যার যা চাহিদা সব পূরন করেছি তবু সমাধান হচ্ছিলো না | যেখানে স্বার্থ নেই সেখানে কেউ ৫ মিনিট ব্যয় করে আপনাকে হেল্প করবে না এটাই সত্য, তার চেয়ে বড় সত্যি এসব কাজ বুঝে এমন লোকই পাওয়া যায় না | শেষে হেডঅফিসের একজনের সাথে খুব ভালো পরিচয় হয় | তিনি একদিনেই বাকি সমস্যার সমাধান করে দিয়েছেন (১৪৮ দিনের হয়রানি)

আসুন আমরা অন্তত মানবিক হই | যে কাজে নিজের পকেটের টাকা খরচ হয় না "অন্তত" সে কাজে অন্যকে হেল্প করুন | নয়তো আপনি কিসের মানুষ?

যহোক প্রসেস মেনে চললে হয়রানি কমবে | সবার জন্য শুভ কামনা |

Post a Comment

0 Comments
* Please Don't Spam Here. All the Comments are Reviewed by Admin.

Search This Blog