Type Here to Get Search Results !

সজিনার উপকারিতা

সজিনার শাক ও ফলে ঔষধি গুণাগুণঃ
ক) শরীরের কোনো স্থানে ব্যথা হলে বা ফুলে গেলে সজিনার শিকড়ের প্রলেপ দিলে ব্যথা ও ফোলা সেরে যায়।

খ) সজিনার শিকড়ের রস কানে দিলে কানের ব্যথা সেরে যায়।

গ) সজিনার আঠা দুধের সাথে খেলে মাথা ব্যথা সেরে যায়। আঠা কপালে মালিশ করলে মাথা ব্যথা সেরে যায়।

ঘ) সজিনার আঠার প্রলেপ দিলে ফোঁড়া সেরে যায়।

ঙ) সজিনা ফুলের রস দুধের সাথে মিশিয়ে খেলে মূত্রপাথরি দূর হয়। ফুলের রস হাঁপানি রোগের বিশেষ উপকারী।

চ) সজিনা পাতার রসের সাথে লবণ মিশিয়ে খেতে দিলে বাচ্চাদের পেট জমা গ্যাস দূর হয়।

ছ) সজিনা পাতা পেষণ করে তাতে রসুন, হলুদ, লবণ ও গোলমরিচ মিশিয়ে সেবন করলে কুকুরের বিষ ধ্বংস হয়।

জ) পাতার শাক খেলে যন্ত্রণাধায়ক জ্বর ও সর্দি দূর হয়।

ঝ) সজিনা পাতার রসে বহুমূত্র রোগ সারে।

ঞ) কোষ্ঠকাঠিন্য ও দৃষ্টিশক্তি : সজিনার ফুল কোষ্ঠকাঠিন্য দোষ দূর করে এবং দৃষ্টিশক্তি বৃদ্ধি করে।

ট) সজিনা ফুল দুধের সাথে রান্না করে নিয়মিত খেলে কামশক্তির বৃদ্ধি ঘটে। এর চাটনি হজমশক্তি বৃদ্ধি করে।

ঠ) সজিনার ফল নিয়মিত রান্না করে খেলে গেঁটে বাত থেকে রেহাই পাওয়া যায়।

ড) ক্রিমিনাশক ও টিটেনাস : সজিনার কচি ফল ক্রিমিনাশক, লিভার ও প্লীহাদোষ নিবারক, প্যারালাইসিস ও টিটেনাস রোগে হিতকর।

ঢ) অবশতা, সায়াটিকা : সজিনার বীজের তেল মালিশ করলে বিভিন্ন বাত বেদনা, অবসতা, সায়াটিকা, বোধহীনতা ও চর্মরোগ দূর হয়।

ন) পাতার রস হৃদরোগ চিকিৎসায় এবং রক্তের প্রবাহ বৃদ্ধিতে ব্যবহার হয়।

প) পোকার কামড়ে এন্টিসেপ্টিক হিসেবে সজিনার রস ব্যবহার করা হয়।

ফ) ক্ষতস্থান সারার জন্য সজিনা পাতার পেস্ট উপকারী।

ব) সজিনা শরীরের প্রতিরোধক ব্যবস্থা শক্তিশালী করে। শরীর থেকে বিষাক্ত দ্রব্য, ভারি ধাতু অপসারণ এবং শরীরে রেডিয়েশন ও কেমোথেরাপি নিতে সহায়তা করে।

ভ) ইন্টেস্টাইন ও প্রোস্টেট সংক্রমণ : সজিনা বিভিন্ন ধরনের সংক্রমণের বিরুদ্ধে কাজ করে।

ম) শ্বাসকষ্ঠ, মাথা ধরা, মাইগ্রেন, আর্থাইটিস এবং চুলপড়া রোগের চিকিৎসায় ও সজিনা কার্যকর ভূমিকা রাখে।

য) কৃমিনাশক হিসেবে সাজনার ব্যবহার খুবই গুরুত্বপূর্ণ।

র) সাজনা গাছের ছাল এবং মূলের নির্যাস ব্যাথা নিবারক হিসেবে কাজ করে।

ল) সাজনার ছাল ও মূলের রস নিয়মিত ভাবে ৩/৪ দিন খেলে শরীরের কৃমি মুক্ত হয়ে যায়।

শ) সাজনা খাদ্য হজমের প্রক্রিয়ায় সাহায্য করে।

ষ) বদ হজম কিংবা কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করতে হলে সাজনার রস খাওয়া প্রয়োজন।

স) সাজনা তরকারি খেলে খাদ্য হজমের ক্ষমতা বাড়ে।

হ) সাজনার কচি পাতার রস নিয়মিত ভাবে খেলে রক্তের উচ্চচাপ ধীরে ধীরে স্বাভাবিক হয়ে আসে।

য়) সাজনা গাছের ফল কাঁচা অবস্থায় খাওয়া যায়। এটি একটি পুষ্টিকর খাদ্য।

ড়) সাজনা রক্ত সংহবহনতন্ত্রের ক্ষমতা বাড়ায়।

Post a Comment

0 Comments
* Please Don't Spam Here. All the Comments are Reviewed by Admin.

Search This Blog