শরীর সুস্থ রাখার জন্য কিছু নিয়ম মেনে চলতে হয়। এসব নিয়ম মেনে চললে শরীরে একরকম ফুরফুরে অনুভূতি কাজ করবে। শরীর হালকা হালকা লাগবে। যেকোন কাজে উৎসাহ পাবেন। হাটা চলা করতে স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করবেন।
✔ভাত একটু কম খান✔সবজিটা বেশি করে খান। সবধরনের সবজি খান
✔রাতের খাবার দেরি করে খাবেন না। ৮টা ৯ টার মধ্যে খান। যদি তাড়াতাড়ি খাওয়া সম্ভব না হয় তাহলে আর ভারী খাবার খাবেন না। হাল্কা খাবার খান। যেমন দুই একটা বিস্কিট। একগ্লাস লো ফ্যাট/ডায়েট দুধ খান।
✔চায়ে চিনি খাবার অভ্যাসটা বাদ দিন। প্রথমে কমিয়ে দিন। তারপর পুরোপুরি বাদ। অন্যান্য মিষ্টি খুব কম খান।
✔সফট ড্রিংকস না ঠেকলে হরহামেশাই খাবেন না।
✔প্রতিদিন এককোয়া রসুন খান। খাবার টেবিলের উপর একটা ছোট বাটিতে রসুন রাখুন তাহলে খেতে ভুলে যাবেন না।
✔প্রতিদিন বাদাম খান। পারলে নারকেল খান।
✔ব্যাগে লবংগ, এলাচ দানা রাখুন কয়েকটা। মাঝে মাঝে মুখে দিন। চিবিয়ে খান।
✔প্রতিদিন একটা করে টমেটো খান। শশা খান। টক দই খান।
✔সয়াবিন তেল পারলে বাদ দিন। সূর্যমুখী তেল খান।
✔প্রতিদিন পারলে একটা আপেল খান। দুই তিনটা খেজুর খান।
✔রেড মিট সপ্তাহে একদিনের বেশি অবশ্যই খাবেন না। মুরগীর মাংশ খান। চর্বিসমৃদ্ধ খাবার কম খান। বড় মাছের চামড়া খাবেন না।
✔হাটার দূরত্বের পথের ক্ষেত্রে যানবাহন পরিহার করুন। হাটুন। প্রতিদিন। কমপক্ষে ১৫-২০ মিনিট।
✔পারলে প্রতিদিন কিছুক্ষণ ব্যায়াম করুন।
কি এসব করতে খুব কষ্টকর মনে হচ্ছে? এসব না করে আপনি মনে করছেন বিতর্কিত কোন ডায়েট নির্দিষ্ট সময়ের জন্য করলেই আপনি বাজীমাত করে ফেলবেন 🤓। কখনই না। নির্দিষ্ট সময় পর আবার হাভাইত্তা চেনেন? সেই হাভাইত্তার মত খাওয়া শুরু করবেন। জেল থেকে ছাড়া পাওয়ার মত মুক্তি অনুভব করবেন। তারপর একটু একটু করে ঐ যে বললাম হাভাইত্তা সেই হাভাইত্তার মত খাওয়া শুরু করবেন। ফলাফল যেই লাউ সেই কদু হবে। অভ্যাসটা প্রতিদিনকার। কোন নির্দিষ্ট সময়ের জন্য নয়।
ডা. আল আমিন
আবাসিক চিকিৎসক
শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল