Type Here to Get Search Results !

আর নয় প্রহসন নিবন্ধন যার চাকরি তার

প্রহসনের এক নাম NTRCA:

রাস্তায় অনশন করছেন, শিক্ষক নিবন্ধন পরীক্ষায় পাশ করে নিয়োগ বঞ্চিত শিক্ষকবৃন্দ। পরীক্ষা গ্রহণের মাধ্যমে যোগ্য প্রার্থী বাছাই করে নিয়োগের সুপারিশ করা এই প্রতিষ্ঠানটির কাজ। যোগ্য প্রার্থী হলে তো স্কুলে থাকার কথা, তারা রাস্তায় কেন থাকবে?

উত্তরঃ কেন থাকবে না। খামখেয়ালি আর ভুল সিদ্ধান্তের ক্ষেত্রে চ্যাম্পিয়ন তকমা পাওয়া এই প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে যতটি মামলা হয়েছে, আমার জানামতে ততটি মামলা আর কোন প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে কোন দিন হয় নি। আদালত সিদ্ধান্ত দিয়েছে, মেনেও নিয়েছে পুনরায় অস্বীকার করছে।

কেন? শিক্ষক নিবন্ধন পরীক্ষায় উত্তীর্ণ একজন চাকরি প্রার্থীকে কেন আদালতে ঘুরতে হবে, এমন তো কথা ছিল না। স্কুল ম্যানেজিং কমিটির দুর্নীতি বন্ধ করতে সরকার NTRCA গঠন করেছিল। সকাল বিকাল আইন পরিবর্তন করা আর নিত্য নতুন সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে বেকার যুবকদের জীবন নিয়ে ছিনিমিনি খেলাই যেন এদের কাজ। আমার কথার পক্ষে আমি কয়েকটি প্রমাণ তুলে ধরতে চাইঃ

১ঃ প্রথমে সনদের মেয়াদ ৫ বছর করে আইন পাশ করলেন। পেশাদার সনদের কোন মেয়াদ না থাকলেও NTRCA এর সনদের ছিল।  আমার প্রশ্ন একজন ডাক্তারের, উকিলের, ইঞ্জিনিয়ারের সনদের মেয়াদ কয় বছর? 
পেশাজীবী সনদ মুলত তার কর্ম রিলেটেড সিলেবাসের উপর অর্জিত জ্ঞানের সার্টিফিকেশন। তাহলে আমাদের ক্ষেত্রে মেয়াদ কেন। সরকার এটা উপলব্ধি করলেন এবং ২০১৩ সালে ততকালীন শিক্ষা সচিব স্বাক্ষরিত প্রজ্ঞাপনে ৫ বছর কথাটি বাদ দিলেন। এরপরে বাজারের বিক্রয়যোগ্য দ্রব্য সামগ্রীর মতো মেয়াদ সনদের উপরে লেখা শুরু করলেন। 

আমার প্রশ্ন আমার সনদের মেয়াদ যদি ৫ বছর হয় তাহলে এই ৫ বছরের মধ্যে আমাকে চাকরি তে প্রবেশ করতে দেয়ার জন্য পর্যাপ্ত পর থাকতে হবে। পদ নেই কিন্তু মেয়াদ থাকবে। এটাই ঠিক কারন ওনারা দেশ চালাচ্ছেন, নীতিনির্ধারণ করছেন, জ্ঞান বিজ্ঞানে ওনারা এগিয়ে,  আমরা তো শুধু চাকরি প্রার্থী তাও নিদিষ্ট মেয়াদের জন্য। মেয়াদ শেষ ওটা শুধুই ছেড়া কাগজ বই কিছু নয়।

২ঃ সহকারী শিক্ষক ককম্পিউটার, যোগ্যতা স্নাতক + ৬ মাসের কম্পিউটার ডিপ্লোমা। না তাতে হবে না এখন ৩ বছর মেয়াদি ডিপ্লোমা বা ৪ বছর মেয়াদি স্নাতক। না তাতে শিক্ষক পাচ্ছেন না, শিক্ষক সংকটে আই সিটি শিক্ষায় লাইফ সাপোর্ট।  আবার পিছু হটলেন,  এবার ১ বছর মেয়াদি এডভান্স সার্টিফিকেট কোর্স ইন কম্পিউটার এপ্লিকেশন। 

মজার ব্যাপার হল যখন স্কুলে পর্যাপ্ত পদ খালি, তখন একটা বিশাল অংশের বেকার যুবক আদলতে ঘুরছে ৬ মাসের ডিপ্লোমা নিয়ে নিবন্ধন পাশ করা। তাদের সার্টিফিকেট এ লেখা আছে তিনি শিক্ষক হবার উপযুক্ত, কিন্তু NTRCA মানছে না, কারন তারা শিক্ষার মান উন্নয়ন করেই না তবে ছাড়বে অথচ স্কুলে কম্পিউটার শিক্ষক নেই। ২০১৮ সালে বলবত আইনের দ্বারা তার আগে পাশকৃত প্রার্থী দেরকেও তারা আটকে রেখেছেন। যে কোন মুল্যে মান উন্নয়ন করতেই হবে।

৩ঃ জাতীয় মেধা তালিকা অনুযায়ী মেধার ভিত্তিতে নিয়োগ দিবেন, প্রতি বছর দুইটি পরীক্ষা নিবেন কিন্তু সার্টিফিকেট এর মেয়াদ আছে এবং ৩৫ বছরের বেশি বয়স হতে পারবে না। তারা এটাও আইন করে দিয়েছেন।

৪ঃ ২০১৮ সালের শিক্ষা আইন অনুযায়ী শিক্ষক হওয়ার জন্য বয়সসীমা ৩৫ বছর। ২০১৮ এর আগে যারা পাশ করেছেন, তাদের ক্ষেত্রে এটা প্রযোজ্য হবে না বলে মহামান্য সুপ্রিম কোর্টের আপীল বিভাগ রায় দিয়েছে। ওনারা মেনে নিয়েছেন,  আবেদন বিজ্ঞপ্তিতেও উল্লেখ করেছেন আবেদন গ্রহণ করেছেন, সুপারিশ করেছেন, এমপিও করাতে আটকে দিয়েছেন বলছেন হবে না। এখন ওনারা রিভিও করেছেন। কি আর করার আবার আদালত, তবে আদালত যে সব সময় সঠিক বিচার করে এমনটি কিন্তু নয়। সত্য গোপন করে অসত্যকে প্রতিষ্ঠিত করেও রায় প্রভাবিত করা হয়। যেমনটি আপনারা এর আগের কন্টেম মামলার রায়ে দেখেছেন।

আরো অনেক আছে আর বলতে চাই না। জয় হোক অত্যাচারিত,  বঞ্চিত আমার ভাই বোনদের যারা আজকে ন্যায্য দাবী আদায়ে রাজপথে সোচ্চার।

একজন নিবন্ধনধারী চাকরি প্রত্যাশী।
Collected 

Post a Comment

0 Comments
* Please Don't Spam Here. All the Comments are Reviewed by Admin.

Search This Blog